ভয়াবহ ভূমিকম্পে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে একটি উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত দেশ তুরস্কে পৌঁছেছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
শাহজাহান শিকদার বলেন, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের উদ্ধারকারী দল সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার বিমান জার্নি শেষে আদানা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সেখান থেকে তারা ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আদিয়ামান স্থানে বাসে করে রওনা হয়েছেন।
এর আগে সাতদিনের উদ্দেশে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ জনসহ মোট ৬০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল সি-১৩০ বিমানে করে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে উদ্ধারকারী দলের সদস্য হিসেবে যারা রয়েছেন তারা ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজারি গ্রুপ (INSARAG)-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিধ্বস্ত ভবনে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালনা বিষয়ে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
এদিকে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার সদস্য।
বিজ্ঞাপন
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অকতের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে। এরপর একই দিন দুপুরে ও বিকেলে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)। আর বিকালে ৬ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস।
/এএস