২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবমিলিয়ে দেশদুটিতে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে শুধু তুরস্কেই ১ হাজার ৫৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দেশটির প্রায় ১০ হাজার নাগরিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায়।
বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্পের প্রভাবে নিজ দেশের চিত্র তুলে ধরে ফুয়াত ওকতায় বলেন, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ভূমিকম্পে অন্তত ৩ হাজার ৪৭১টি বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৯ হাজার ৭৩৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিকে, ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের ফলে তুরস্কের সব স্কুল আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠনগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, রাশিয়া, চীন, জার্মানি, ইরান, ইতালি, ইসরায়েল, পোল্যান্ড, কাতার, স্পেনের মতো দেশগুলো ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে দেশদুটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও তুরস্কে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ফ্লাইট পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে। এরপর সোমবার দুপুরে ও বিকালে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
বিজ্ঞাপন
এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)। আর বিকালে ৬ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স।
/আইএইচ








































































































































































































































