তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি জোড়া ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তুরস্কে নিহত বেড়ে ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। সিরিয়াসহ এই সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজারে পৌঁছেছে। ৬ ফেব্রুয়ারির পর ওই অঞ্চলে সাত হাজারের বেশি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাটি মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ তুরস্কে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৩১০ জন নিহত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এএফএডি জানিয়েছে, কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক এবং এলবিস্তান জেলাকে কেন্দ্র করে ভূমিকম্পের পর ৭ হাজার ১৮৪টি আফটারশক হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ৭.৭ ও ৭.৬ মাত্রার দুটি ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো হলো- আদানা, আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, হাতায়, গাজিয়ানটেপ, মালটিয়া, কিলিস, ওসমানিয়ে, এলাজিগ এবং সানলিউরফা। বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তুরস্ক এরই মধ্যে ৩ লক্ষাধিক তাঁবু এবং ৬ হাজার ৩৭৫টি কন্টেইনার স্থাপন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জরুরি জিনিসপত্র সাহায্য এসেছে।
বিজ্ঞাপন
এএফএডি জানিয়েছে, ১৪ হাজার ৭৪০ জন স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্মী বর্তমানে মাঠে কাজ করছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে হাতায় প্রদেশে নতুন ভূমিকম্পের পর কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ৫৬২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
এসব ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়াও। সেখানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি। সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে অনেক কম জানা যাচ্ছে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের বেশিরভাগই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। সেখানে সহযোগিতা ও উদ্ধারকারী পাঠানোও অনেকটা দুরুহ। এ বিষয়টি সমাধান করতে কাজ করছে জাতিসংঘ।
একে