ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার ভোররাতের এই ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশেই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এখনও ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তাদেরকে উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। সাধারণ মানুষও এতে হাত লাগিয়েছেন।
— The Spectator Index (@spectatorindex) February 6, 2023
কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শোকপালন করবেন বলেও আত্মীয়-পরিজন নেই অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুমান করে বলেছে যে, এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়াতে পারে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার ভবন ধসে পড়েছে।
তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, মালতায়া এবং আদানাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিরায়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞাপন
দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কামনা করেছে তুরস্ক। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য বাহিনী প্রেরণ করেছে। সেনাবাহিনী নামিয়েছে তুরস্ক।
— The Spectator Index (@spectatorindex) February 6, 2023
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন যে, ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়ে এবারের ভূমিকম্প আরও ভয়ঙ্কর। ওই ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এই বিপদ মোকাবেলা করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
একে