দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ তুর্কিয়েতে আঘাত করা ভয়াবহ জোড়া ভূমিকম্প কাহরামানমারাস প্রদেশের একটি এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে এতদিন চেষ্টা করে গেছেন উদ্ধারকারীরা। এরই মধ্যে সোমবার আবারও জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে বেশ কয়েক জায়গায় ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে জীবিতদের উদ্ধারে আবারও তৎপর হয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
সোমবার রাতে তুরস্ক-সিরিয়ায় জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন ভূমিকম্পের পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
খবরে বলা হয়েছে, নতুন ভূমিকম্পের পর তুরস্কে আরও অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে অনেকে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিজে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে আবারো তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ।
পাজারিক জেলার ওর্দেকদেডে গ্রাম ছিল নতুন ভূমিকম্পের অন্যতম কেন্দ্রস্থল। সোমবারের ভূমিকম্পে এই গ্রামের প্রায় সব একতলা বাড়ি ধসে পড়েছে।
ওর্দেকদেডের স্থানীয় প্রধান কেমাল গুভেন বলেছেন যে, গ্রামে ১৪০টি পরিবার ছিল এবং এখন গ্রামে কোনও কাঠামোগতভাবে ভাল বাড়ি অবশিষ্ট নেই।
বিজ্ঞাপন
গুভেন ভাগ্যবান, কারণ তিনি ভূমিকম্পের সময় গাজিয়ানটেপে ছিলেন। গ্রামে আসার পর তিনি এবং তার প্রতিবেশীরা তার আত্মীয়দের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করেন।
গুভেন যোগ করেন, তারা গ্রামটি পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন, যা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অঞ্চলের বৃহত্তম এলাকা। তিন বলেন,
'এখানে মাত্র দুই বা তিনটি বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, বাকি সব ধ্বংস হয়ে গেছে।'
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে সোমবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ তুরস্কে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪১ হাজার ১৫৬ জন নিহত এবং এক লাখ সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ জন আহত হয়েছে।
কাহরামানমারাস প্রদেশকে কেন্দ্র করে ৭.৭ এবং ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আদানা, আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, গাজিয়ানটেপ, হাতায়, কিলিস, মালটিয়া, ওসমানিয়ে, সানলিউরফা এবং এলাজিগসহ ১১টি প্রদেশে ১৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছিল।
সূত্র: আনাদুলু ও বিবিসি
একে