সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু মানুষের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটির রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও কেঁপে ওঠে।
তবে তুর্কি ভূমিকম্পবিদরা বলেন ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তারা বলেছে, এই অঞ্চলে কয়েক মিনিট পর দ্বিতীয় ভূকম্পন আঘাত হেনেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে ভূমিকম্পের পরপরই কিছু ভবন ধসে পড়ার খবর দেওয়া হলেও পরে এই তীব্রতা আরও ভয়াবহ হতে দেখা গেছে। সকাল হওয়ার পরপরই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা দেখা লক্ষ্য করা গেছে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ধ্বসে পড়ে ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন থামছেই না।
বিজ্ঞাপন

গার্ডিয়ানের খবরে নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলা হয়েছে। সানলিউরফাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেখানকার গভর্নর সালিহ আয়হান।
মালতয়া, দিয়ারবাকির ও মালত্যা প্রদেশে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। তবে সেখানে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে তুরস্কের সীমান্তবর্তী দেশ সিরিয়াতেও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সেখানেও ভবন ধসে অনেকের আটকা পড়ার খবর এসেছে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকার্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার ভবনগুলোতে উদ্ধার কাজ চলছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এমআর








































































































































































































































