তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৬০০ ছাড়িয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই হাজার ৬১৯ জন মারা গেছেন। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
উদ্ধার কর্মীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে এক হাজার ৬৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৯৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে।
এরপর সোমবার দুপুরে ও বিকালে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)।
আর বিকেলে ৬ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস।
বিজ্ঞাপন
এদিকে তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুর্গত এলাকায় দিনের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে এবং রাতের বেলা তা আরো কমে যেতে পারে। এছাড়া ওই এলাকা ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার গভীর তুষারে ঢেকে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তুরস্কের উত্তরের পাহাড়ি এলাকায় বেশি তুষারপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ৫০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠনগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, রাশিয়া, চীন, জার্মানি, ইরান, ইতালি, ইসরায়েল, পোল্যান্ড, কাতার, স্পেনের মতো দেশগুলো ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে দেশদুটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও তুরস্কে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ফ্লাইট পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
জেবি