শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভূমিকম্প আতঙ্কে বন্ধ ঢাবি, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ভূমিকম্প আতঙ্কে বন্ধ ঢাবি, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর সকাল থেকেই হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চার দফা ভূমিকম্পের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হল ছাড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশের পর রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ছেন।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি দুই দিনের মধ্যে চার দফা ভূমিকম্পের পর জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।

du-1ভূমিকম্প আতঙ্কে এই সিদ্ধান্তকে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী স্বাগত জানালেও, কেউ কেউ মনে করছেন এটি হল ত্যাগের সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী নিরাপদ আবাসনের দৃশ্যমান সমাধানসহ তিন দফা দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে রাতভর অবস্থান করেন।

প্রথমে একদিনের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হলেও, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সিন্ডিকেট জরুরি বৈঠকে ১৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দিতে হবে। হলগুলো যাচাই-বাছাই করে পরে পুনরায় খোলা হবে। প্রকৌশলীরা ঝুঁকির সামগ্রিক মূল্যায়নের জন্য দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।’

Du-2ভূমিকম্পের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শুক্রবার তীব্র ভূমিকম্পের পর দিনও কিছু শিক্ষার্থী আহত হন। শনিবার তৃতীয় দফার ভূকম্পনের সময় আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে নামার কারণে শামসুন্নাহার হলে তিনজন, কুয়েত মৈত্রী হলে একজন, বেগম রোকেয়া হলে একজন ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলে একজন আহত হন। এর মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রী। শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও ঝাঁকুনির কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক এবং প্রধান প্রকৌশলীর মতামত বিশ্লেষণ করা হয়।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর