তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা দু‘টি বড় ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেক লোককে উদ্ধারকারী দল ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার করেছিলেন। তিন দিনের প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের মধ্যেও ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। ওই বিপর্যয়কর ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও জীবনের সন্ধান চলছে। এমন সময় জানা গেছে যে উদ্ধারকারীরা ৮০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বাবা ও মেয়েকে বের করে এনেছেন।
তুরস্কের কাহরামানমারাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার ৮১ ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী দলগুলো খুঁজে পেয়েছিল ফেইজুল্লাহ পোলাট (৩৫) ও তার ৯ বছর বয়সী মেয়ে জেইনেপকে। তাদের জীবিত অবস্থায় বের করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
পাজারসিক জেলায় ভূমিকম্পের ৭৮ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে মেহমেত নাইম এবং মেলিহ নামে আরও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরে তাদের মাকেও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত বের করা হয়।
পাজারসিক জেলার একটি ভবনের নিচে আটকে পড়া বাবা ও তার দুই ছেলেকে প্রায় ৭৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শহরের একটি বিল্ডিংয়ের নীচে ৭৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে বাগিস পরিবারকেও আহত অবস্থায় বের করে আনা হয়েছিল। এখন ৫৫ বছর বয়সী আলি বাগিস, ৪০ বছর বয়সী জেলাল বাগিস এবং তাদের ৫ বছর বয়সী মেয়ে মীর বারজানকে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
এদিকে নাজিম শাহিনোগলু নামের এক ব্যক্তিকে ভূমিকম্পের ৮০ ঘন্টা পরে মালতয়াতের একটি ছয় তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন: https://youtu.be/uoOt8cfwQzM
তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এরজুরুম থেকে জেন্ডারমেরি নামের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল (জেএকে) হাতায়ে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিল। তারা ভূমিকম্পের ৭৬ ঘন্টা পরে একটি ছোট মেয়েকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনে।
দেশটির আদিমনায় উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা কোসুন পরিবারের দুই তরুণ সদস্যকেও বাঁচিয়ে এনেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা, হুররিয়াত ডেইলি নিউজ
এমইউ