শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মহাদুর্যোগে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুদের কখনও ভুলব না: এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

মহাদুর্যোগে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুদের কখনও ভুলব না: এরদোয়ান
ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকৃত শিশুদের পাশে এরদোয়ান ও তার স্ত্রী- টুইটার

শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্পের পর অনুসন্ধান, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এই মহা দুর্যোগের সময় যারা আমাদের পাশে রয়েছেন তাদেরকে কখনোই ভুলব না।

মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে শীর্ষ সম্মেলনে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। খবর আনাদুলু এজেন্সির


বিজ্ঞাপন


ভিডিও বার্তায় এরদোয়ান বলেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষ থেকে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আহত ৮১ হাজার লোককে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আবারও সব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাদের জাতির জন্য দিনরাত সাহায্য সংগ্রহ করছে। আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে এবং তাদের প্রার্থনায় আমাদের ভুলে যায়নি।'

earthquake turkey

তুর্কি এই নেতা বলেন, মানব ইতিহাসের এই বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, এই অন্ধকার দিনে আপনি যে বন্ধুত্ব দেখিয়েছেন তা কখনোই ভুলব না। 


বিজ্ঞাপন


এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেন যে, ভূমিকম্পের বিপর্যয় আবারও আন্তর্জাতিক সংহতির গুরুত্ব দেখিয়েছে। এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ শতাধিক দেশ তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে।

সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। তুরস্কে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে যে, সিরিয়ায় এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল একেবারে ধসে গেছে। দুই দেশে প্রায় দশ হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

এখন পর্যন্ত তুরস্কে ৩২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় এই সংখ্যাও ৭ হাজারের বেশি। আহত হয়েছেন প্রায় লাখখানেক মানুষ। 

earthquake

ভূমিকম্পে তুরস্কে ১০টি প্রদেশ জুড়ে ১৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হলো- হাতায়, গাজিয়ানটেপ, আদিয়ামান, মালটিয়া, আদানা, দিয়ারবাকির, কিলিস, ওসমানিয়ে এবং সানলিউরফা।

ঘটনার ৯ দিনে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য মরিয়া অনুসন্ধান শেষ সময়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন যে, সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং বিল্ডিংয়ের তীব্রতার কারণে উদ্ধারের শেষ আশাও প্রায় নিভে যাচ্ছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর