ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিপুলসংখ্যক নাগরিকদের মৃত্যুতে ৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের মৃত্যুতে ৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এ ছাড়া নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
এর আগে, গত সোমবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়েছে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এ দুটি দেশের বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার হয়েছে। শুধু তুরস্কেই সাত হাজার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মারা গেছে দুই হাজার ৫০৩ জন। দুই দেশ মিলে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬০০ জন ছাড়িয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও'-এর কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন নিহত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ আফাদ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২,৮৩৪টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
/এএস