শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভূমিকম্পের পর ত্রাণের অভাব: চরম সঙ্কটে উত্তর সিরিয়ার মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:০৬ এএম

শেয়ার করুন:

ভূমিকম্পের পর ত্রাণের অভাব: চরম সঙ্কটে উত্তর সিরিয়ার মানুষ
ত্রাণের অভাবে চরম সঙ্কটে উত্তর সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ

উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে এমন একটি বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট-এর প্রধান জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘের পদক্ষেপ ছিল খুবই বাজে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রথম ত্রাণ-বাহী গাড়িবহর তুরস্ক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে। এ বিষয়ে হোয়াইট হেলমেট-এর প্রধান রায়েদ আল-সালেহ বলেছেন, জাতিসংঘ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।

এ বেসামরিক ত্রাণ সংস্থাটির অভিযোগ, ওই রসদ-পত্র ভূমিকম্পের আগে সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল এবং উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য জরুরি রসদ-পত্র তাতে ছিল না।


বিজ্ঞাপন


ইদলিব থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জেনেভায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় আল-সালেহ বলেন, ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর যে ত্রাণ বহর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে তাতে ছিল মাত্র ছয় ট্রাক ভর্তি সাহায্য সামগ্রী এবং এগুলো ভূমিকম্পের আগেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।

তুরস্ক থেকে সিরিয়া পর্যন্ত স্থল সীমান্তের ক্রসিংগুলো রাশিয়ার পীড়াপীড়িতে কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিতরণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

রাশিয়া বলছে, সাহায্য সামগ্রীগুলো দামেস্কের সরকারের মাধ্যমে যাওয়া উচিত। কিন্তু হোয়াইট হেলমেট শুক্রবার দাবি করেছে যে ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার সরকার উত্তর সিরিয়ায় ‘কিছুই’ পাঠায়নি।

আল-সালেহ আরও কিছু মানবিক করিডোর খোলার জন্য জাতিসংঘকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা "রাশিয়াকে রাগাতে চায়নি" বলে তিনি জানান।


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অবশ্য আল-সালেহর এই ব্যাখ্যা মেনে নেননি। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এ সপ্তাহান্তে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় যাচ্ছেন।

তবে এই সফরের সময় তিনি হোয়াইট হেলমেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ভূমিকম্প আঘাত হানার পর চার দিন পার হয়েছে এবং সাহায্যের অভাবে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার পরিস্থিতি মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন।

উত্তর সিরিয়ার একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মোহাম্মদ হাসাউন জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর এখন তাদের কাছে যে চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে তাতে দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০ শতাংশ মানুষের চাহিদাও পূরণ হবে না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি শুক্রবার জানিয়েছে যে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, যেখানে ৯০ শতাংশ মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে খাদ্যের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

সূত্র : বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর