সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এছাড়া ধ্বসে পড়া ভবনগুলোর ভেতরে আটকা পড়েছেন অনেকে। বাঁচার জন্য আটকেপড়া ব্যক্তিরা অনেক আকুতি করছেন।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা আপ্রাণ চেষ্টা করে কিছু মানুষকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অনেকে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের কারণে দেশটির বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটির রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও কেঁপে ওঠে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু বলেছেন, ভূমিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরগুলো গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্য, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
বিবিসির প্রতিবেদনে ভূমিকম্পের পরপরই কিছু ভবন ধসে পড়ার খবর দেওয়া হলেও পরে এই তীব্রতা আরও ভয়াবহ হতে দেখা গেছে। সকাল হওয়ার পরপরই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা দেখা লক্ষ্য করা গেছে।
বিজ্ঞাপন

শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়ে ভবনগুলোর নিচে আটকে পড়া জীবিত মানুষরা জীবন বাঁচাতে আকুতি জানাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে যেন থামছেই না।
তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর-পশ্চিমে একটি শক্তিশালী ভূকম্পনের পর ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এমআর








































































































































































































































