শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সারিবদ্ধ লাশের মাঝে স্বজনের খোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

সারিবদ্ধ লাশের মাঝে স্বজনের খোঁজ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে অনেকের জন্য মৃত আত্মীয়দের সন্ধান করা এবং নিখোঁজদের ভাগ্য সম্পর্কে তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে

সাহায্যের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে অনেকের জন্য মৃত আত্মীয়দের সন্ধান করা এবং নিখোঁজদের ভাগ্য সম্পর্কে তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে মারাত্মক ভূমিকম্পের পর হাজার হাজার হতাহত মানুষকে উদ্ধারে অভিযানও চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এমন তথ্য দিয়েছে।

তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের একটি হাসপাতালের বাইরে দেখা গেছে, অসংখ্য লাশ মাটিতে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। কিছু লাশ ব্যাগে রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্য মৃতদেহগুলো কম্বল ও চাদরে আবৃত করে রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমার স্ত্রী তুর্কি ভাষায় কথা বলতে পারে না এবং আমি খুব ভালো করে চোখে দেখি না। অথচ আত্মীয়র লাশ খুঁজতে আমাদের সব মৃতদেহের মুখ পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের সাহায্য দরকার।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে মাত্র ৮০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত আন্তাকিয়া শহর থেকে রিপোর্ট করে বিবিসির কুয়েন্টিন সোমারভিল বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা যেকোনো সরকারকে প্রায় হতবাক করবে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্টেডিয়াম এবং পার্কিং লটে শত শত মৃতদেহ মাটিতে পড়ে আছে। যাতে করে আত্মীয়রা তাদের স্বজনদের লাশ শনাক্ত করতে চেষ্টা করার জন্য তাদের মুখ থেকে কম্বল তুলে নেয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, নাদা একজন সিরিয়ান নারী। তার তুর্কি স্বামী একজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তাকিয়ার কাছে হাতায় হাসপাতালের পার্কিং লটে সারিবদ্ধ ১০০ লাশের মধ্যে তাদের ভাগ্নি এবং খালাকে কীভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে।


বিজ্ঞাপন


এ সময় তাদের বলা হয়, একের পর এক মৃতদেহ পরীক্ষা করুন। 

ভূমিকম্পে নিহতদের লাশ বডি ব্যাগ, কম্বল বা তেরপলিনে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবরা তাদের খুঁজে বের করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

২০১৬ সালে নির্মিত ১,১৩০ শয্যার হাসপাতালের বাইরে তাঁবুতে বা ফুটপাতে লাশ রাখা হয়েছে। কারণ, ভূমিকম্পে হাসপাতালের লাশ রাখার স্থানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কোনো কোনো লাশের সঙ্গে শনাক্তকরণের ট্যাগ রয়েছে, কারও সঙ্গে নেই। আত্মীয়রা যারা প্রিয়জনকে শনাক্ত করছেন তাদের একটি ডেথ সার্টিফিকেট এবং দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছ থেকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। তারপর তারা তাদের নিজস্ব যানবাহনে লাশ সরিয়ে নেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে অনেকেই লাশ খুঁজে পাচ্ছেন না। ওই স্থানে এক নারী তার বোনের লাশ খুঁজে পাননি বলে চিৎকার করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ, দেখুন আমরা কেমন আছি। আমরা যদি আমাদের লোকদের মৃতদেহ খুঁজে পাই, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।’

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর