২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিস।
তাই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মাত্র চার মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ এর মধ্যেই ট্রাম্প এবং তার অন্যতম উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছেন আমেরিকার মানুষ।
শনিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা। নতুন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘হ্যান্ডস অফ’! সেই ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রোববার মাস্ককে কটাক্ষ করে কমলা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ আমাদের দেশের প্রতিটি কোণে কোণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকানরা। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিক্ষোভকারী শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর এই সব ‘অনির্বাচিত ধনকুবেরদের’ কণ্ঠকে ছাপিয়ে যাক।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হাজার হাজার আমেরিকান। প্রতিবাদে শনিবার থেকে আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল এবং সমাবেশ চলছে।
বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীসহ ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী দেশের ১,২০০ টিরও বেশি এলাকায় এই ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের আয়োজন করে।
তবে সমাবেশগুলি শান্তিপূর্ণ ছিল, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও গ্রেফতারির খবরও পাওয়া যায়নি। শনিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন এবং ওয়াশিংটনের রাস্তায়।
শত শত মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনো রাজা নেই। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।’ ট্রাম্পের পাশাপাশি টেসলা-কর্তা মাস্কের বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
শুধু আমেরিকাই নয়, বিক্ষোভ হয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পর্তুগাল, মেক্সিকো এবং পুয়ের্তোরিকোতেও।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টপদে বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে বিবিধ প্রশাসনিক পদে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসী বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে।
এসব নিয়েই ক্ষুব্ধ আমেরিকাবাসী। সাম্প্রতিক কালে, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে দেশের বাইরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে এ সব সত্ত্বেও অবিচল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
-এমএমএস