রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

রোদ-বৃষ্টির যন্ত্রণা সয়ে ক্ষীণ আশার আলো দেখছেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

রোদ-বৃষ্টির যন্ত্রণা সয়ে ক্ষীণ আশার আলো দেখছেন তারা

রমজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে যায় রাজধানীর বঙ্গবাজারের চারটি মার্কেট। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ঈদুল ফিতরের আগে অগ্নিকাণ্ডস্থলে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করার অনুমতি দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঈদের পর কয়েক দিন স্থানটি পড়েছিল অনেকটাই খালি। তবে ছুটির পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকায় বঙ্গবাজারেও বেড়েছে দোকানির সংখ্যা।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবাজার ঘুরে দেখা যায়, চৌকি পেতে বসা দোকানির সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেড়েছে।


বিজ্ঞাপন


তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেও ব্যবসায় খুব একটা আশার আলো দেখছেন না তারা। পাইকারি মার্কেট হঠাৎ ফুটপাতে পরিণত হওয়ায় ক্রেতারাও আসছে না খুব একটা। এরমধ্যে খোলা আকাশের নিচে তীব্র রোদে বসা যায় না। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে মালামাল সরানোরও উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে এক কঠিন সময় পার করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র রোদ ঠেকাতে মাথার ওপর কাপড়ের ছাউনি দেওয়া। কারও কারও ক্ষেত্রে সেটিও জোটেনি। রোদের তাপ কিংবা হঠাৎ বৃষ্টির পরিস্থিতি মেনেই চৌকিতে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০টি দোকান বসতে দেখা গেছে।  

নোমানী নামে এক দোকানি ঢাকা মেইলকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের আগে আমরা যে ব্যবসায়ীর দোকান যেখানে ছিল, সেখানেই চৌকি পাতার সুযোগ পেয়েছি। প্রতিটি চৌকি লম্বায় পাঁচ ফুট ও প্রস্তে সাড়ে তিন ফুট জায়গায়। কয়েকটি দোকান খোলা হলেও ক্রেতা দেখা নেই খুব একটা।

বেশিসংখ্যক দোকান বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে নোমানী বলেন, অনেকেই ফুটপাতে বসছেন না, বসবেনও না। জায়গা দখল করার জন্য চৌকি পেতেছেন।


বিজ্ঞাপন


B-Bazar2

না বসার কারণ জানতে চাইলে বলেন, কোটি টাকার পুঁজি ছিল তাদের। একেবারে ফুটপাতে বসে যাবে এমনটাতো আর অবস্থা হয়নি, আত্মসম্মান তো আছে। এছাড়া সারাদিন বসেও ক্রেতার দেখা পাওয়া যায় না। আমরা যারা সামনের অংশে বসেছি তারাই বিক্রি করতে পারি না। ভেতরে তো মানুষ যেতে চায় না।

এ সময় দেখা যায়, সারিবদ্ধ চৌকি বিছিয়ে রাখা হয়েছে। আরও কিছু চৌকি বসানোর প্রস্তুতি চলছে। সামনের অংশে  হাতেগোনা কয়েকজন কাপড়ের নানা পণ্য সাজিয়েছেন। কেউ দিনের তীব্র রোদে কাবু হয়ে মাথায় ছাতা দিয়ে বসে আছেন, কেউবা হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। বেশিরভাগ চৌকি খালি পড়ে আছে। যদিও প্রায় ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী। সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল থেকে চৌকিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসাতে থাকেন দোকানিরা।

গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই পুড়ে যায় সবকিছু। নিঃস্ব হয়ে যান হাজারও ব্যবসায়ী। 

ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর