রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

সুষ্ঠু নজরদারি থাকলে নগরে অগ্নিকাণ্ড এড়ানো সম্ভব: বিআইপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

সুষ্ঠু নজরদারি থাকলে নগরে অগ্নিকাণ্ড এড়ানো সম্ভব: বিআইপি

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নগর এলাকাগুলোয় বিভিন্ন ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় প্রায়শঃই অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। ফলে জীবন ও সম্পদের অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) গভীরভাবে শোকাহত এবং এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের প্রতি বিআইপি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে। একই সাথে নগর এলাকার সঠিক পরিকল্পনা, ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ ভবন নির্মাণ, কার্যকরী উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু নজরদারি থাকলে নগরে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড এড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছে তারা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। 


বিজ্ঞাপন


বিআইপি মনে করে, আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও তদারকির ব্যর্থতায় ঢাকায় ক্রমাগত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ২০১০ সালের নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ২০১৯ সালের চকবাজার অগ্নিকাণ্ড থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি। নিমতলীর ঘটনায় তদন্ত কমিটির ১৭ দফা সুপারিশের বাস্তবায়ন হলে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়ত আর দেখতে হতো না।

বিআইপি বলে আসছে, ঢাকার এলাকাভিত্তিক নগর পরিকল্পনা, ভূমির পুনঃউন্নয়ন, বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার সঠিক প্রয়োগ এবং সেবা সংস্থাগুলোর সঠিক নজরদারির মাধ্যমে ঢাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকিমুক্ত ও বসবাস উপযোগী করা সম্ভব। সরকারের সেবা সংস্থাগুলোর সঠিক পরিকল্পনা, কার্যকরী উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু নজরদারি না থাকায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। জননিরাপত্তা ও জনস্বার্থ রক্ষার স্বার্থে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি সামনে রেখে এগোতে হবে। একইসাথে ঢাকার ভূমি উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নকশা প্রনয়নের সময় দুর্যোগ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কার্যক্রমের বিস্তারিত বিধিমালা প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করতে হবে। 

বিআইপি মনে করে, মানুষের জান-মালের সুরক্ষা নিশ্চিতে বঙ্গবাজারে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ করে প্রাপ্ত সুপারিশের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। এছাড়াও যেকোনো ভবন নির্মাণের সময় প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র মানসম্মত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিসের সামর্থ্য এবং দুর্ঘটনাস্থলে সময় মতো পৌঁছানোর সম্ভাব্যতা বিবেচনায় রেখে ভবনের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক প্রস্তুতি বাড়াতে হবে, তবেই ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।

বিআইপি বলে, ঢাকা, তথা সারাদেশের সকল এলাকায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে সরকারকে সব ধরনের পেশাগত সহায়তা দিতে বিআইপি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। আমরা জানি, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ সর্বদাই উত্তম, এজন্যই নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের সবক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য।


বিজ্ঞাপন


ডিএইচডি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর