‘আমার সবই শেষ হয়ে গেছে। আমি শেষ হয়ে গেলাম। বন্ধু ফোন দিয়ে বলছে, বঙ্গবাজারে আগুন লাগছে। ৩ তলায় আমার দোকান, দ্রুত এসে দেখি মাটিতে মিশে গেছে’— বিলাপের সুরে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন অগ্নিকাণ্ড কবলিত বঙ্গমার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সাগর।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গুলিস্তান নগর ভবনের সামনে রাস্তার ফুটপাতে বসে আহজারি করছিলেন এই ব্যবসায়ী।
বিজ্ঞাপন
জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে দুটি দোকান ছিল তার। রাতে তারাবি পড়ে যাত্রাবাড়ীর বাসায় চলে যান তিনি। সকাল সাড়ে ৮টায় তার এক বন্ধু ফোন দিয়ে জানান, তুই কোথায় মার্কেটে আগুল লাগছে। এসে দেখি সবই শেষ হয়ে গেছে।
অভিযোগ করে মো. সাগর বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের অবহেলার কারণেই আগুন এতো ছড়িয়েছে। আগুন লাগার ৫ ঘণ্টার পরও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তারা। ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিট কাজ করলে পানিতে ভেসে যাওয়ার কথা।’
এদিন ভোরে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বিভিন্ন ইউনিটকে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ করে। এরপর ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার ফাইটারদের প্রথম ইউনিট। দুপুর পৌঁছে ১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বিজ্ঞাপন
এমই/এইউ












































































































































