রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ ফুচকা-চটপটির দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ ফুচকা-চটপটির দোকান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থলে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসার সুযোগ পেয়েছেন দোকানিরা। তাদের বসার জন্য ইট-বালু দিয়ে প্রাথমিকভাবে ছলিং করে দেওয়া হয়। কোনো কোনো দোকানি এখনও বসতে পারেননি। তাদের বসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ছলিং। এরইমধ্যে ‘বহিরাগত’ বেশ কিছু অস্থায়ী দোকানি চৌকি পেতে বসা দোকানিদের আড়াল করে বসাচ্ছেন ফুসকা, চটপটি, শরবতসহ নানা দোকান। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের।

বুধবার বিকেল ও বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঈদ পরবর্তী সময়ে আবারও দোকান খুলে বসছেন ব্যবসায়ীরা। কেউবা ঈদের পর প্রথম বসছেন। অগ্নিকাণ্ডের আগে যার যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই চৌকি পেতেছেন। লম্বায় ৫ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট চৌকির অধিকাংশই খালি পড়ে আছে। সড়কের পাশের কিছু দোকানি পেতেছেন দোকান। বৃষ্টি কিংবা রোদের প্রখরতা কমলেই বসেন তারা।

Dhaka-3

দেখা যায়, ফ্লাইওভারের নিচের দিকে সড়কে বসছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান। এছাড়াও পশ্চিম পাশে বসেছে আরও কয়েকটি দোকান। বাকি দুই পাশের একদিকে পুলিশ হেডেকোয়াটার্স এবং অন্যপাশে ধ্বংসাবশেষ থাকায় বসতে পারেনি কেউই। যেখানে মিলছে শরবত, কসমিটিংসসহ নানা খাবার। এ নিয়ে বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অন্তহীন।

সৌরভ গার্মেন্টসর মো. জামিল জানান, আমরা নিজেরাও এখন ফুটপাতের দোকানি। আমাদের আড়াল করে বসছে আরও কতগুলো দোকান। আমাদের সীমানা প্রাচীরে না এলেও তাদের জন্য দোকানগুলো দেখা যায় না। ক্রেতারা চৌকি সীমানায় আসতে ঘুরে আসতে হয়। মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে তারা।


বিজ্ঞাপন


দোকানি মো. স্বপন ঢাকা মেইলকে বলেন, চৌকিতে কী আর ব্যবসা হয়। ফুটপাতের যারা ক্রেতা তারা দোকানে কম যায়। এখন আমরাও ফুটপাতের দোকানি হয়ে গেছি। যারা আসে দাম কম বলেন। পণ্যের মান যাই হোক না কেন, ফুটপাতে তো আগের মতো দাম পাই না। এর মধ্যে বাড়তি ঝামেলা সড়কের দোকানগুলো। নিজ ইচ্ছেমতো বসছে আমাদের আড়াল করে।

Dhaka-2

গত ৪ মার্চ ভয়াবহ আগুনে পড়ে ছাই হয়ে যায় বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে প্রায় চার হাজারের মতো ব্যবসায়ীর দোকান ভস্মিভূত হয়।

পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভস্মীভূত হওয়ার এক সপ্তাহ পর ব্যবসায়ীদের জন্য চৌকি পেতে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়। পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ভবনের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গায় বালু দিয়ে ও ইট বিছিয়ে অস্থায়ীভাবে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের এই ব্যবস্থা করা হয়।

ডিএইচডি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর