রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

১০ কেজি চালের বাহিরে কিছুই পাইনি: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৬ এএম

শেয়ার করুন:

১০ কেজি চালের বাহিরে কিছুই পাইনি: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়েগিয়েছিল বঙ্গবাজারসহ চার মার্কেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। এর পরপরই ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসে এফবিসিসিআই, ডিএসসিসি, প্রবাসী বাংলাদেশি থেকে শুরু করে অনেকেই। এরইমধ্যে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অগ্নিকাণ্ডস্থলে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করার অনুমতি দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এসব অনুদানের কোনো টাকাই তারা পাননি। ঈদের আগে পেয়েছেন দোকান প্রতি ১০ কেজি চাল। 

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ দোকানির সঙ্গে কথা বলে মিলেছে এমন তথ্য।


বিজ্ঞাপন


বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শেষে আবারও চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। তীব্র রোদ ঠেকাতে মাথার ওপর কাপড়ের ছাউনি দেওয়া। কারও কারও ক্ষেত্রে সেটিও জোটেনি। রোদের তাপ কিংবা হঠাৎ বৃষ্টির পরিস্থিতিকে মেনেই চৌকিতে বসেছেন তারা।

এ সময় দেখা যায়, সারিবদ্ধ চৌকি বিছিয়ে রাখা হয়েছে। আরও কিছু চৌকি বসানোর প্রস্তুতি চলছে। যেখানে হাতেগোনা কয়েকজন কাপড়ের নানা পণ্য সাজিয়েছেন। কেউ দিনের তীব্র রোদে কাবু হয়ে মাথায় ছাতা দিয়ে বসে আছেন, কেউবা হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। বেশিরভাগ চৌকি খালি পড়ে আছে। যদিও প্রায় ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে।

dm

ব্যবসায়ীরা জানান, চৌকি পেতে বসায় এখন আর কেউই পণ্যের ভালো দাম দিতে চায় না। ফুটপাতের দামেই দরদাম করে সবাই। রোদে ক্রেতারা আসতে চায় না। আমরা নিজেরাও কিছু সময় বসলে রোদে সিদ্ধ হয়ে যাই। ক্রেতাদের কাছে স্থানটি ফুটপাত স্পট হিসেবে সে ভাবে পরিচিতও নায়। এরমধ্যে পুঁজির টানাটানি তো আছেই। 


বিজ্ঞাপন


লম্বায় ৫ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট জায়গায় ফের ব্যবসা শুরু করেছেন দোকানি মো. স্বপন। তার ছিল তিনটি দোকান। পুড়ে ছাই হয়েছে ভয়াবহ আগুনে। আলাপকালে বলেন, কিছু মাল তুলে বসেছি। পুঁজি তো নাই। টাকার অভাবে কিছুই করতে পারছি না। ব্যাংকে গিয়েছি লোন পেতে দেরি হবে। ইন্সুরেন্স ছিল তারা দেবে না, কারণ সিটি করপোরেশন আমাদের আপাতত দোকান বসাতে দিচ্ছে না। 

অনুদানের কত টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে এই দোকানি দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বলেন, কিছুই পাইনি। ঈদের আগে দোকান প্রতি ১০ কেজি করে চাল দিয়েছে। তিনটা দোকানে ৩০ কেজি পেয়েছি। নিজে কিছু নিয়েছি, বাকিগুলো কর্মচারীদের দিয়েছি। শুনি আর শুনি আমাদের সবাই সাহায্য করছে, অনুদান দিচ্ছে, কিন্তু আমরা তো কিছুই পাইনি। একই অভিযোগ অন্য ব্যবসায়ীদের। 

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) কয়েকজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল থেকে চৌকিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসাতে থাকেন দোকানিরা।

ডিএইচডি/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর