বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

গুলিস্তানে ভবনের নথি এখনও পায়নি রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৩, ১২:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

গুলিস্তানে ভবনের নথি এখনও পায়নি রাজউক

গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ হওয়া সাততলা ভবনের নথি ঘটনার তিন দিন পরও খুঁজে পায়নি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজউকের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।


বিজ্ঞাপন


এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাশ বলেন, নথির খোঁজ করা হচ্ছে। অনেক পুরনো এই ভবনের নথি ম্যানুয়ালভাবে রাখা। বুধবার (৮ মার্চ) শবে বরাতের ছুটি থাকায় নথি খুঁজতে দেরি হয়েছে। কয়তলার অনুমতি ছিল সেটা নথি দেখলে জানা যাবে।

দুর্ঘটনার ৩ দিন পার হলেও এখনো কেন নথির সন্ধান মেলেনি— এমন প্রশ্নের জবাবে তন্ময় বলেন, ২০১৯ সালের মে মাস থেকে রাজউকে নতুন নকশাগুলো ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। আগের নথিগুলোরও সফটকপি তৈরি করা হচ্ছে।  

রাজউকের সদস্য আরও বলেন, রাজউকের কমিটি বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত পরিদর্শন করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। ভবনটি মেরামত বা সংস্কার করা যাবে নাকি অপসারণ করতে হবে তা কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে।

tanmoy


বিজ্ঞাপন


এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে শহরের যত ভবনের বেজমেন্টে রেস্টুরেন্ট ও মার্কেট আছে, সেগুলোর তালিকা করা হবে বলেও রাজউকের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার এ সদস্য জানান। তিনি বলেন, রাজউকের আটটি জোনের ২৪টি সাব-জোনে সরেজমিনে পরিদর্শন করে তালিকা করা হবে। মার্কেট ও রেস্টুরেন্টে ভেন্টিলেশন রয়েছে কিনা, অনুমোদন আছে কিনা- যাচাই করা হবে।

এর আগে রাজউক জানিয়েছিল সিদ্দিক বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত কুইন্স স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনটি ৪৫ বছরের পুরনো।

গত মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এরপর বুধবার আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ চলে। গতকাল বিকেলে ভবনের বেজমেন্ট থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করায় বুধবার রাত পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মুসা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ জনে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। পাশাপাশি এখনো এক জন নিখোঁজ আছেন।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর