বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ঢামেকে যতদিন গুরতর রোগী ভর্তি থাকবে ততদিন সহায়তা কেন্দ্রও থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৩, ১২:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

ঢামেকে যতদিন গুরতর রোগী ভর্তি থাকবে ততদিন সহায়তা কেন্দ্রও থাকবে

রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) যতদিন গুরতর রোগী ভর্তি থাকবে, ততদিন জেলা প্রশাসনের সহায়তা ও তথ্যকেন্দ্র চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক। 

বুধবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকা জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েত হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


এসময় ভর্তিকৃত রোগীদের সাহায্যের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত মৃত ১১ জনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছি। আর মাদারিপুরের বাসিন্দা দুইজনকে অ্যাম্বুলেন্সের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

এ কে এম হেদায়েত হোসেন আরও বলেন, গতকালের দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের আয়োজনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) সামনে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছি। এখান থেকে রাতের বেলায় নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে এটি সম্পন্ন হয়। 

dmch

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা ও গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার টাকা এবং বাকিদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের জন্য প্রথমিকভাবে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ১৬টি আবেদন পরেছিল, আমরা ১৬টি হস্তান্তর করেছি। 


বিজ্ঞাপন


পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আহতদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে তালিকা অনুযায়ী তাদের স্বজনদের কাছে সাহায্যের অর্থ হস্তান্তরের কাজ চলমান আছে। যত দ্রুত সম্ভব তা করা হবে।

নিখোঁজদের তথ্য জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৫টি পরিবার নাম দাখিল করেছে। এর মধ্যে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে এবং অপরজন বারডেমের আইসিইউতে আছে বলে জানতে পেরেছি। বাকি তিন জনের তথ্য আমাদের কাছে নেই।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে ঢামেক পরিচালক জানিয়েছেন নিহত ১৮ জনের মধ্যে একজন অন্য ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছে। 

ডিএইচডি/এমএইচ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর