বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আজও উৎসুক জনতার ভিড়, ঠেকানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০১:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

আজও উৎসুক জনতার ভিড়, ঠেকানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই

রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে সেখানে সকাল থেকে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা। কেউ কেউ এসেছেন নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছে। তবে বেশিরভাগই এসেছেন কৌতূহলবশত। কোনো কাজ ছাড়াই সেখানে তারা ভিড় করেছেন। তাদের সামাল দিতে আজও হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার (৮ মার্চ) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন বিধ্বস্ত ভবনের তছনছ হওয়া মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর রয়েছেন পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা। আনসার বাহিনীর সঙ্গে স্কাউটের কর্মীরাও কাজ করছেন শৃঙ্খলা ফেরাতে।


বিজ্ঞাপন


তবে তাদের কোনো চেষ্টা যেন দমাতে পারছে না এখানকার উৎসুক জনতাকে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিস্ফোরণ ঘটনার পর গভীর রাত পর্যন্ত উৎসুক হাজারো মানুষকে দফায় দফায় সরিয়ে দিয়েও বিশৃঙ্খলা ঠেকানো যায়নি।

পুলিশ সদস্য ছাড়াও অন্যরা মিলে বারবার লোকজনকেব সরে যেতে বললেও কেউ যেন কারও কথা শুনছে না। বারবার মাইকিং করে কাজে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ বললে সরে গিয়ে আবার আগের জায়গায় চলে আসছেন স্থানীয়রা। এই পথ দিয়ে যাওয়া অনেকে কিছু সময় থেমে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আবার চলে যাচ্ছেন। যে কারণে মানুষের জটলা অনেক বেশি হচ্ছে।

ovijan

সম্প্রতি রাজধানীতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি দুর্ঘটনার পর একই চিত্র দেখা গেছে। সবখানে কারণে-অকারণে ‍উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। এর ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। সম্প্রতি গুলশানে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক মানুষের সমাগমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আগুন কয়েক ঘণ্টা আগে নেভানো যেত যদি উৎসুক জনতা ভিড় না করত।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমতলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এই বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ আছেন।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর