বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিস্ফোরণের সম্ভাব্য ৫ কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বিস্ফোরণের সম্ভাব্য ৫ কারণ

রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য পাঁচ কারণ জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।

নিষ্ক্রিয়করণ দলটি বিধ্বস্ত ভবনটি পরিদর্শন করে জানিয়েছে, ভবনের বেজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। ভবনের বেজমেন্টের বদ্ধ কোনো কক্ষে গ্যাস জমে সেটি ‘গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত হয়েছিল। সেখানে যেকোনো উপায়ে স্পার্ক (আগুনের স্ফুলিঙ্গ) হওয়ার পরই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য পাঁচটি উপায়ে গ্যাস জমতে পারে বলে মনে করছে তারা।


বিজ্ঞাপন


দলটি সম্ভাব্য যে পাঁচটি কারণ জানিয়েছেন, তা হলো— ভবনের মাটির নিচে পানির ট্যাংক থেকে গ্যাস নির্গত হতে পারে; দুটি ভবনের মাঝখানে একটি সেপটিক ট্যাংক ছিল, সেখান থেকে গ্যাস নির্গত হতে পারে; বিচ্ছিন্ন হওয়া কোনো গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস জমতে পারে বা দেয়ালে মিথেন গ্যাস জমে থাকতে পারে; পয়োনিষ্কাশন লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস জমতে পারে এবং ভবনে থাকা বড় জেনারেটর থেকেও কোনোভাবে গ্যাস জমতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে সিটিটিসির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, যেকোনো উপায়েই হোক ভবনের আবদ্ধ কক্ষে গ্যাস জমেছিল। সেখানে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট বা অন্য কোনো উপায়ে স্পার্ক থেকে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।

gulistan

এডিসি রহম উল্লাহ চৌধুরী বিস্ফোরণের ঘটনা কোনো নাশকতা নয় বলেও প্রাথমিকভাবে মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনো বিস্ফোরক বা আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) সার্কিটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কোনো বিস্ফোরক ব্যবহার হলে ধোঁয়ার সময় কোনো রঙিন বা কালো ধোঁয়া হয়। কিন্তু সেখানে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। এরপর বুধবার আবারও দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। পাশাপাশি এখনো কয়েকজন নিখোঁজ আছেন।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর