বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বারবার ফোন দিচ্ছিলেন বোন, জানতেন না বেঁচে নেই ভাই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

বারবার ফোন দিচ্ছিলেন বোন, জানতেন না বেঁচে নেই ভাই

নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলিস্তানে স্যানাটারির জিনিসপত্র কেনার জন্য এসেছিলেন দুই ভাই আওলাদ ও তারেক। কিন্তু হঠাৎ ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে তাদের সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে এক ভাইও আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র। বাকিজনের কী অবস্থাও তা জানা না গেলেও তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেছেন বলে ফায়ার সার্ভিসের সূত্রটি জানিয়েছে।

তবে দুই ভাইয়ের ভাগ্য কী হয়েছে তা এখনো জানেন না পরিবার। বিস্ফোরণের খবর জানার পর এক ভাইয়ের ফোনে বারবার কল আসছিল। অপর প্রান্ত থেকে তার বোন বারবার কল করলেও ফোন ধরছিল না ভাই। তখনও তিনি জানতেন না বড় বিপদ হয়ে গেছে তার ভাইয়ের।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তার কিছু সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসে। এসেই তারা ভবনের বাইরে ও ভেতরে পড়ে থাকা আহত ও নিহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেন।

fire-2

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা আসলে তখন বেঁচে ছিলেন না। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক না বলা পর্যন্ত তো মৃত বলতে পারি না। পরে দেখলাম তাদের একজনের বারবার ফোন আসতেছিল। ভাবলাম ফোনটা ধরি।

ফায়ার সার্ভিসের এই সদস্য বলেন, এদের দুজনকে হাসপাতালে রেখে পরে ওই নম্বরে নিজের ফোন থেকে ফোন দিলে তাদের বোন ধরে ভাইদের খবর জানতে চান। তারা গুরুতর আহত, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন বলে তাদের দ্রুত আসতে বলি। পরে ওই নম্বরে ফোন করলে তাদের বোন পরিচয়ে একজন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার দুই ভাই আজকে কেনাকাটা করার জন্য বংশালে গেছে। হাইকমোডসহ আরও কিছু জিনিস কেনার কথা। কিনে আবার নারায়ণগঞ্জে আসবেন। কিন্তু এরমধ্যে বিপদ হয়ে গেছে।


বিজ্ঞাপন


dhaka-1

ফোনে কথা বলার সময় বারবার তিনি জানতে চাচ্ছিলেন তার দুই ভাই বেঁচে আছেন কিনা। ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মী ঢাকা মেইলকে বলেন, 'তারা দুইজন ভাই কিনা বলা মুশকিল। তখন জানারও সুযোগ ছিলো না। তবে দুজনকে এক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চেহারাও কাছাকাছি। মনে হয় দুজনই ভাই। তারা মারা গেছেন।' এ কথা বলেই অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মী।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর