বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

গুলিস্তানে বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

গুলিস্তানে বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১৭

রাজধানীর গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় শেষ খবর পর্যন্ত পাওয়া ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী । এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশপাশি যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনী এবং র‌্যাবও।


বিজ্ঞাপন


বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. সুমন (২১),  মো. ইসহাক মৃধা (৩৫),  মো. মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২),  মো. আল আমিন (২৩),  মো. রাহাত হোসেন (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬),  মো. মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম(৭০), মো. ইদ্রিস মির (৬০),  নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫),  মো. হৃদয় (২০) ও সম্রাট (১৮)।

tt

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়।

ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের বর্ণনা দিয়ে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই। তারা বলেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পার্শবর্তী ভবনগুলোও। অনেক ভবনের কাচ ভেঙে পড়েছে। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী, সবাই হতাহত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটি বাণিজ্যিক হওয়ায় ভেতরে অনেকের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভবনটির ভেতরে আরও আহত কেউ আটকা পড়েছে কি না, তা খুঁজে দেখছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

YY

এর আগে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখানে রোগী আসা যাওয়ার মধ্যে আছে। অনেককে তাদের অবস্থা বিবেচনা করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন রোগী আসার ফলে প্রকৃত সংখ্যাটি বলা কঠিন। রোগীর সংখ্যা ৬০-৭০ জনের কম হবে না।

নাজমুল হক বলেন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে অনেক রোগীকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত আইসিইউ ও ভ্যান্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা নিশ্চিতে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে শুরু করে বাইরের সড়ক পর্যন্ত আহত এবং নিহতদের স্বজনদের আহাজারি চলছে। ডাক্তার ও নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীরা হতাহতদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর