রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা গিয়েছেন। এছাড়াও পুলিশের একাধিক ইউনিটও ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। বিস্ফোরণের আসল কারণ জানতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন খন্দকার।
বিজ্ঞাপন
এই কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরকের কোনো গন্ধ পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঘটনাস্থলে কোনো স্প্রিন্টার পাওয়া যায়নি। তবে সব বিষয়কে কাজ মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি, আমাদের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
মহিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। ভবনটি রাস্তার একদম পাশে। এতে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। আহতের সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তবে এই মুহূর্তে হতাহতের সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। যদিও ভবনটি ধসে পড়েনি, তবে বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন কাজ করছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এখানে অনেক দোকানপাট অরক্ষিত অবস্থায় আছে, সেগুলো আমাদের নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে। আমরা উৎসুক জনতাসহ সবাইকে বলব সরে দাঁড়ানোর জন্য। ভিড়ের কারণে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে আজ বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের সময় গুলিস্তান বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সন্ধ্যায় ছয়টা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কেআর/জেবি