মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভবন ভাঙার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেড় বছর পর: রাজউক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ভবন ভাঙার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেড় বছর পর: রাজউক

গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দুটি আপাতত ভাঙা হচ্ছে না। কিন্তু সব কিছু যাচাই করে সিদ্ধান্ত হবে দেড় বছর পর। 

বুধবার (০৮ মার্চ) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান রাজউকের কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক সাবেক মেজর শামসুউদ্দিন হায়দার চৌধুরী।


বিজ্ঞাপন


শামসুউদ্দিন হায়দার বলেন, এটা অনেক পুরনো ভবন, তখন রাজউকও ছিল না। ভবনটি ৮৫ সালের পর হতে পারে, তবে ৮৫ সালের নথিপত্র ঘেঁটে আমরা এটা পাইনি। এ জন্য আশি সালের নথিপত্র দেখার জন্য বলা হয়েছে। আমার অফিসার এই নিয়ে কাজ করছে, এর ফাঁকে আমি এ জায়গায় চলে এসেছি। 

এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভবনটি, নকশা বহির্ভূতভাবে তৈরি করা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনা— এর জবাবে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দুটি নকশা বহির্ভূতভাবে তৈরি করা হলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজউকের কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আমরা ভবনটি পরিদর্শন করেছি। ভবনটির পাশের ভবন থেকে ছাদে গিয়েছি। দ্বিতীয় তলা থেকে উপরের অংশ ঠিক আছে। নিচে থাকা ২৪টি কলাম এর মধ্যে নয়টি কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বাহিরে অন্যান্য বিমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলো যে লোড নিতে পারত সেই লোড এখন অন্য কলামগুলো উপর ওপর পড়বে। 

এ সময় তিনি জানান, যেহেতু ভবনটির নিচে থাকা নয়টি কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ কারণেই সেগুলোকে পুনরায় সংস্কার বা রেক্টিফাইং করতে হবে কিনা, নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা এছাড়াও ভবনটি ভাঙতে হবে কিনা এসবের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সময় প্রয়োজন।‌ এজন্য এ ধরনের কাজ করতে দুই তিন মাস সময় লাগে। রেক্টিফাইং যারা কাজ করবেন তারা অবশ্যই এফিসিয়েন্ট হতে হবে।


বিজ্ঞাপন


রাজউকের এ সদস্য বলেন, রেক্টিফিটিং কাজ শুরু করলে কলামগুলোকে স্টাবল করার জন্য আমরা তাদেরকে প্রব দিয়ে দেব। তারপর তারা প্রবগুলো ডিজাইন করবেন, কয়টা এপ্রব দিতে হবে। এক থেকে দুই মাস তারা বিল্ডিংয়ের মাটি চেক করবেন। ভবনের প্রত্যেকটা বিম কলাম চেক এবং বিল্ডিং কেটে দেখবে। মাটির কোয়ালিটি কালেকশন করবে এবং রডের কোয়ালিটি দেখবে। ভবনটির ৮০ সালে প্রথম চারতলা তৈরি করা পরে আরও তিনতলা তৈরি করা হয়েছে। আসলে ইনিশিয়াল অ্যাসেসমেন্ট করতে দুই মাস লাগবে এবং রেক্টিফিটিং করতে আরও এক বছর সময় লাগবে। এজন্য তৃতীয় পক্ষের যে কোম্পানি কাজ করবে তাদের অধীনে পুরো কাজ শেষে হলে তারা রেক্টিফিটিং এর কাজ সম্পন্ন শেষে সার্টিফিকেট দেবে তবেই ভবনটি ব্যবহার উপযোগী কিনা তা জানা যাবে। 

তিনি আরও জানান, তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে তারা এজন্য কাজ শুরু করবেন। পরে এর রেক্টিফাইং কাজ করার জন্য তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করবেন। সিটি করপোরেশন ও রাজউকের জনবল থাকলেও সেই সক্ষমতা নেই। এ কারণে তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করতে হবে। তারা গবেষণা করবেন এবং নানান বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে কাজ করতে প্রায় দেড় বছরের মতো সময় লাগবে। এই দেড় বছরের আগে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। 

এ সময় তার সাথে থাকা বুয়েট বিশেষজ্ঞ রাকিব আহসান বলেন, এটা মাথায় রাখতে হবে ভবনটি খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটি এখন সামনের রাস্তার জন্য ঝুঁকি পেছনের বাড়ির জন্যও ঝুঁকি।

এমআইকে/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর