বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

যেভাবে সন্তানকে খুঁজে পেলেন আমেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

যেভাবে সন্তানকে খুঁজে পেলেন আমেনা

মায়ের মন কি মানে? সেই সদরঘাট থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছেন ছেলের খোঁজে। বিস্ফোরণের ঘটনা টেলিভিশনে দেখার পর থেকে বন্ধ আরাফাতের ফোন। কোথায় আদরের ধন? খোঁজ নেই যে তার। বাড়িতেও কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে একাই বৃদ্ধ বয়সেই ছেলের জন্য ছুটলেন। ছয়টার দিকে আসেন ঘটনাস্থলে।

তার ছেলে আরাফাত কাজ করে ব্যাংকের পাশের একটি দোকানে। সেই দোকানে এসেই পান ছেলেকে। ছেলেকে দেখা যাত্র ভেঙে পড়েন কান্নায়। চুমু এঁকে দেন গালে, কপালে। জড়িয়ে নেন কোলে। ছেলেকে পেয়ে কান্না যেন থামছেই না। আরাফাতও মায়ের কান্না থামাতে ব্যর্থ।


বিজ্ঞাপন


আরাফাত ঢাকা মেইলকে বলেন, দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ। কানে যেন কিছুই শুনি না। কয়েক মিনিট কিছুই বলতে পারি না। হাঁটা চলাফেরার শক্তিও ছিল না। আমার হাতে মোবাইলটা ছিল। মোবাইল কই তাও জানি না। আরেকজনের মোবাইল থেকে কল দিলাম বন্ধ দেখায়। এরপর দোকান থেকে বের হয়ে দূরে যেয়ে বসে ছিলাম।

তখন অনবরত কান্না করে চলেছেন মা। আরাফাত আরও বলেন, এটা আমার দ্বিতীয় জীবন। আল্লাহ নিজ হাতে বাঁচাইচে।

dhaka

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের সময় গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।


বিজ্ঞাপন


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পাঁচটার কিছু আগে হঠাৎ সড়ক সংলগ্ন একটি ভবন থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ওই এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভয়ে মানুষ দ্বিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। বিস্ফোরিত এলাকা থেকে অনেক মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। যাদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাদের অনেককে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। অনেককে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থাও দেখা যায়। আহতদের বেশিরভাগ পথচারী।

পিএস/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর