বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ইতোমধ্যেই উপকূলে আঘাত হেনেছে। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মাপারেও। এরই মধ্যে শরীয়তপুর জেলার পদ্মা বিধৌত জাজিরায়ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু।
বিজ্ঞাপন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে পদ্মানদীসহ আশপাশের শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কীর্তিনাশা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের পাশাপাশি বিপাকে পড়তে পারে গৃহপালিত গবাদি পশুও। সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে শরীয়তপুর জেলার পদ্মা নদী বিধৌত জাজিরাতে ৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগকালীন জরুরি সাড়াদানের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
এদিকে, প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুত ছাড়াও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুত, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় এবং দুর্যোগকালীন যে কোনো জরুরি সাড়াদানের জন্য ২৪ ঘণ্টাই আমরা আমাদের জেলা-উপজেলা-পৌরসভায় থাকা দলীয় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালনে মাঠে রেখেছি। এছাড়া আমরা ভালোমন্দ মনিটরিং করছি।’
বিজ্ঞাপন
ইকবাল হোসেন অপু বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা দুর্যোগে কবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসায় চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত শুকনো খাবার দেওয়ার পাশাপাশি সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন দুর্যোগে কবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসায় ক্ষেত্রে।’
কারই/আইএইচ