তীব্র বাতাসের শক্তি নিয়ে উপকূলে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া সবশেষ তথ্যমতে, খেপুপাড়া, ভোলা, বরিশাল দিয়ে ক্রমেই ঘনীভূত হয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে সোমবার সকাল থেকেই এর প্রভাব দেখা গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অংশে।
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের সঙ্গে গতি বেড়েছে বাতাসের। ফলে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বৃষ্টিতে একদিকে যেমন জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ, অন্যদিকে দুই সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার বাসা-বাড়িতেও ঢুকে পড়ছে পানি। সবমিলিয়ে নাগরিক জীবনে যোগ হয়েছে চরম ভোগান্তি।
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করলেও, দক্ষিণ সিটিকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর জলাবদ্ধতা কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত পিছিয়ে আছে ডিএসসিসি।
ঢাকা মেইলের হাতে আসা তথ্যমতে, সোমবার রাত অবধি সবচেয়ে বেশি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের ঢাকা মেইলকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে দক্ষিণ সিটি কাজ করছে। সকাল থেকেই এ নিয়ে ১০টি জোন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তির কথা বলা হলে ডিএসসিসির এই কর্মকর্তা বলেন, এখানে জনশক্তির একটা ঘাটতি রয়েছে। তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে স্ব স্ব অঞ্চলের জনশক্তি দিয়ে সমস্যা নিরসনের। এ সময় এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে সরঞ্জাম সরবরাহ করাটাকেও কঠিন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ডিএইচডি/আইএইচ