একদিন আগেও ছিল রোদ ঝলমলে দিন। কিন্তু রোববার (২৩ অক্টোবর) বদলে গেছে আবহাওয়া। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে, যার নামকরণ করা হয়েছে 'সিত্রাং'। এর প্রভাবে রাজধানীর আকাশ মেঘলা রয়েছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
বেলা ১১টার পর অনেক রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। হালকা শীতল বাতাসও বইছে। রাজধানী কলাবাগানের বাসিন্দা আজমল আলী বলেন, সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, ঠান্ডা বাতাসও বইছে। কুয়াশার মতো বৃষ্টিও হলো। এটা যে ঘূর্ণিঝড় আসছে সে কারণেই।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর কৃষি উন্নয়ন করপোরেশেন, স্থাপত্য অধিদফতর, সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তাকে টেলিভিশনে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে খবরের আপডেট নিতে দেখা যায়। রাজধানীর শিক্ষাভবনের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ নিয়ে আলোচনা শুনছি কয়েক দিন থেকেই। এখন এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে শুনছি। উপকূলের মানুষদের নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।
একই ভবনের আরেক কর্মকর্তা জানান, আমাদের বাড়ি উপকূলে নয় তবে যেকোনে দুর্যোগেই উপকূলের বাসিন্দাদের ক্ষতি হয়। যদিও সরকার প্রস্তুতি নেয় তবুও একটা টেনশন থাকে।
ইতোমধ্যে সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে সংস্থাটি।
সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ (রোববার) সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, এটি সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতের পর থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
বিজ্ঞাপন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, গত তিন বছরে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার মধ্যে এর কভারেজ এলাকা সবচেয়ে বেশি। এটি মোকাবেলায় আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, এটি আরও ঘনীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পরবর্তী সময়ে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। উপকূলের জেলা উপজেলা প্রসাশন ইতোমধ্যেই নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।
ডব্লিউএইচ/জেবি











































































































































































