ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূইয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার। যা পরবর্তীতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোমতী নদীর তীরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশের শীতকালীন সবজি, পালংশাকের ছোট ছোট চারা, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদ্য লাগানো পালংশাকের চারা পানিতে ডুবে গেছে।
বিজ্ঞাপন
খেতের মালিক আবদুল বারেক জানান, তার পালংশাকের খেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ফুলকপির খেতটিও ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টির পানি বৃদ্ধির কারণে।
গোমতী নদীতে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে পানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে এদিকে নগরীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লোকজন বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
দিনমুজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষদের ভোগান্তির শেষ নেই। জীবন- জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছেন মানুষজন। বেচাকেনা হচ্ছে না দোকানপাটে।
নগরীর তেলিকোনা চৌমুহনীর ব্যবসায়ী আল মুরারের মালিক জানান, কাল থেকে বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা একদম নেই। দোকান ভাড়া, ঘরভাড়া সন্তানদের লেখাপড়া এবং সংসার চালাতে আর কূল-কিনারা পাচ্ছি না।
বিজ্ঞাপন
জেলা কৃষি অধিদফতরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, শুনেছি কয়েকজন কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু কি পরিমাণ হয়েছে, তা আমরা এখন বলতে পারব না।
প্রতিনিধি/এইচই