বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আশঙ্কামুক্ত সাতক্ষীরা। তবে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় উপকূলবাসী। আবহাওয়া অফিস বলছে, সারারাত দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বৃদ্ধি পাবে জোয়ারের পানি। তবে উপকূল এলাকাজুড়ে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র (চোখ) সোমবার মধ্যরাত বা মঙ্গলবার ভোররাত নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বিপদ সংকেতও আর বাড়বে না। এ কারণে সাতক্ষীরা উপকূল আশঙ্কামুক্ত। তবে রাতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাবে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও শীট দিয়ে শ্যামনগরের দুর্গাবাটি এলাকার ভাঙন কবলিত বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার ঢেকে দেয়া হয়েছে। তবে, শ্যামনগরের দাতিনাখালী, পশ্চিম কৈখালীসহ জেলেখালী, নেবুবুনিয়া, পদ্মপুকুর ও গাবুরার অন্তত চারটি পয়েন্টের বাঁধ অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া, নাকনা, রুয়েরবিল, চুইবাড়িয়া, দৃষ্টিনন্দন ক্লোজার, হরিষখালী ও কামারখালী, আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট, নয়াখালী, কাকবসিয়ার দু’টি পয়েন্ট, মনিপুর, দক্ষিন একসরা ও নাংলা, শ্রীউলা ইউনিয়নের কোলা ও হাজরাখালী, খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, বড়দল ইউনিয়নের কেয়ারগাতি এবং আশাশুনি সদরের বেশ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ভাঙনকবলিত এসব এলাকা গুলো কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝুকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে অথবা ছাপিয়ে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও দু’টি বিভাগের আওতায় ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। যার মধ্যে ২০০ কিলোমিটারের ৩৫টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই