ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তিনদিন পরও হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা। ফলে চরম দুর্ভোগে চলাচল করছে এসকল এলাকার বাসিন্দারা।
নগরের বিভিন্ন সড়কে এখনও পানি জমে থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জলাবদ্ধতার চিত্রের। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্রে বটতলা থেকে চৌমাথা, বগুড়া রোডের একাংশ, রাজাবাহাদুর সড়কসহ অলিগলিতে সিত্রাংয়ের তিনদিন পরও জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
নগরীর চৌমাথা সিএন্ডবি রোড সংলগ্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিপিপি), শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। তবে নগরীর বেশির ভাগ বাসাবাড়ির ভেতরে পানি জমলেও তা নেমে গেছে।
যদিও সদর রোডের বহুতল ভবনগুলোর আন্ডারগ্রাউন্ডের পার্কিংয়ের ভেতরে জমে যাওয়া পানি সেচের মাধ্যমে অপসারণ করতে দেখা গেছে।
সিএনজি চালক শামিম বলেন, পানির কারেণে ব্যাটারি ও ইঞ্জিন চালিত যানবাহন চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পানি লেগে বিকল হয়ে যাচ্ছে। পানির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষজনও কম, তাই আজ আয়ও কম হয়েছে। মোটরে পানি ঢুকে সমস্যা হওয়ায় তা সারাতে পকেট থেকে টাকা গুনতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা কালু জানান, গলির ভিতরের পানি কমলেও মূল সড়কের পানি এখনও কমেনি। তাই বাসা থেকে বের হয়ে বাজারসহ সকল কাজই হাঁটুসমান পানির মধ্যে করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, খাল ভরাট করে সড়ক ও সরু ড্রেন তৈরি করার পর থেকেই বটতলা সড়ক সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। এ ধরনে দুর্যোগ হলে তো কথাই নেই। কবে যে পানি নামবে তাও কেউ বলতে পারছে না।
গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা রুবেল বলেন, ময়লায় আশপাশের বড়-ছোট ড্রেনগুলো আটকে রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে পানি যেতে পারছে না। তা না হলে সড়কগুলো এখনও পানিতে নিমজ্জিত থাকার কথা না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের উপ-সহকারী মো. মাসুম জানান, সিত্রাং কেটে গেলেও এর প্রভাবে নদীতে পানি বেড়েছে। এর সাথে অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাব এবং ভারী বর্ষণের কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে পানি কমবে।
প্রতিনিধি/একেবি