ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ তেমন একটা না থাকলে মুষলধারে আবার কখনো মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার সকল রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বোশেষ পূর্বাভাসে বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দখিনাঞ্চলের বিভিন্ন নদী বন্দর সমূহকে তিন নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর বৈরি আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার সকল রুটে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে বিআইডব্লিউটিএ। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
অপরদিকে, ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ও ট্রলার বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এদিকে, বরিশাল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার ভোর রাতে বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায়।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পায়রা বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দরে ৩ ও সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সংকেত রয়েছে। বরিশালে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ২০ নটিক্যাল মাইল থাকলেও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ৭০ নটিক্যাল মাইল। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও বাড়তে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
টিবি