শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর-বকশিবাজারে এখনো হাঁটুপানি, দুর্ভোগ চরমে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২৪ এএম

শেয়ার করুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুর-বকশিবাজারে এখনো হাঁটুপানি, দুর্ভোগ চরমে

উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে অবশেষে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কিন্তু যতসময় দাপট চালাতে পেরেছে ততক্ষণে ছয় জেলায় ১১ জন মারা গেছেন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকায়ও বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন অনেক এলাকার মানুষ।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালেও রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবদয় হাউজিং, নবদয় বাজার, হাউজিং লিমিটেড এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এছাড়াও পুরান ঢাকার বকশিবাজার ও লালবাগের বেশকিছু এলাকায়ও জলাবদ্ধতা রয়েছে।  


বিজ্ঞাপন


তবে এমন অবস্থাতেই হাঁটু সমান পানি মারিয়ে মানুষ জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এতে ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছেন ঘরের বাইরে আসা এসব এলাকার মানুষ। কেউ আবার রিকশার সিটের ওপরে বসে, কেউবা ভ্যানে করে কোনোভাবে পানি পার হচ্ছেন।

Cycloneযদিও ভোগান্তিতে পড়া ঢাকার বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে এবং ড্রেনের পানি নিষ্কাশন স্বাভাবিক করতে দিন-রাত কাজ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মীরা।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকেই একাধিক টিম কাজ করছে।

এর আগে সোমবার রাতে প্রচণ্ড বেগে উপকূলে আছড়ে পড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। অবশ্য রাতেই এটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।


বিজ্ঞাপন


Cycloneএদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ উপড়ে যোগাযোগ বন্ধ হলেও মঙ্গলবার ভোররাত নাগাদ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। দুটি মহাসড়কেই সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে নিরাপদে রাখতে দেশের উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। তবে সকালের পর ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে যখন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা পানিতে থইথই করছে, তখন এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও এরই মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী- সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত ৩টা অবধি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের ছয় জেলায় ১১ জন মারা যান। এরমধ্যে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজন ছাড়াও ভোলায় তিনজন, সিরাজগঞ্জে দুইজনসহ নড়াইল, শরীয়তপুর ও বরগুনায় একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর