ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের। ইতোমধ্যে বেশ কিছু টাওয়ার অচল হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকেরা।
মোবাইল ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি খুদে বার্তা পাঠাতে ও ফোনকল করতেও সমস্যায় পড়তে পারেন দুর্গত এলাকার মানুষেরা। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব।
বিজ্ঞাপন
সোমবার সন্ধ্যায় (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অ্যামটব জানায়, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। এ অবস্থায় মোবাইল অপারেটররা বিকল্প ব্যবস্থায় ব্যাটারি ও জেনারেটর ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
টেলিকম সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে বিবেচনায় রেখে জনস্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছে অ্যামটব।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার বলেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। সেখানে আমরা জেনারেটর ও ব্যাটারি ব্যাকআপে টাওয়ার সচল রাখছি। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় এরইমধ্যে আমাদের তিন হাজার সাইট (তিন হাজার টাওয়ার) ডাউন হয়ে গেছে। আট হাজারের বেশি সাইট এখন ব্যাটারি ও জেনারেটরে চলছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ডাউন হওয়া জেনারেটরে চলা সাইটের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেক টাওয়ার অকার্যকর হয়ে পড়ছে। মোবাইল অপারেটরগুলো জেনারেটর দিয়ে তা সচল রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদেরতো সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমনটি হয়েই থাকে।
এসএএস/জেবি











































































































































































