রীতিমতো তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বলে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর। এটি বর্তমানে নিম্নচাপ হিসেবে ঢাকা-কুমিল্লা হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ডক্টর মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এই আবহাওয়াবিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে ঢাকা-কুমিল্লা হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবর অতিক্রম করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেট হয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে চলে যাবে।’
ডক্টর মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আরও জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও (২৫ অক্টোবর) বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে উপকূলীয় জেলাসমূহ অতিক্রম করছে। পুরো এলাকা অতিক্রম করতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
সোমবার রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ১১ নম্বর বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, রাত ৯টায় ঘূর্ণিঝড়টি ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। সেই ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ইতোমধ্যেই দেশের পাঁচ জেলায় অন্তত নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজন ছাড়াও সিরাজগঞ্জ ও ভোলায় দুইজন করে মারা গেছেন। এছাড়া নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ৩টা অবধি এই প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
টিএই/আইএইচ