ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মনিটরিং সেলের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন এলাকায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
বিজ্ঞাপন
এই নেতা জানান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ এবং সমাজকল্যাণ উপকমিটির অধীনে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনতে পারে এবং ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেসব এলাকায় সকল নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুজিত রায় নন্দি বলেন, দুর্যোগের এই সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে বসে নেই। স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন কাজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'দুর্যোগে আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে বরাবরই ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকারের পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে আমরা সজাগ রয়েছি। আমাদের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা মানুষের পাশে আছি।'
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের দুপুর দুইটার তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।
বিজ্ঞাপন
ঝড়টি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উপকূলে এগিয়ে আসছে। আগামীকাল ভোরে ঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। দেশের ১৯ জেলায় প্রভাব ফেলতে পারে সিত্রাং।
এই ১৯ জেলার মধ্যে ১৩টি জেলা মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর ডা. এনামুর রহমান।
কারই/জেবি











































































































































































