ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় মেঘনা নদীর তীরে বইছে প্রবল বাতাস ও নদীর স্রোত। সঙ্গে ভারি ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া বইছে। স্থবিরতা তৈরি হয়েছে জনজীবনে।
নদীর পাড় ও রাস্তায় তেমন মানুষ দেখা যায়নি। যানবাহন চলাচল করতে চোখে পড়েনি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না কেউই।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের মধ্যে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বেড়েছে। লক্ষ্মীপুরে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ২ থেকে ৪টি নৌকা ভেসে যাইতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, মেঘনা উপকূলীয় লক্ষ্মীপুর জেলার চার উপজেলায় ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছেন ৩ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আসেনি বলে জানিয়েছে জেলা কন্ট্রোল রুম।
ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের জন্য মজুত রাখা হয়েছে ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, ২৬০ টন চাল, ৩০০ কার্টন ড্রাইকেক, ৩০০ কার্টন ডাইজেসটিভ বিস্কুট ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, জেলার সব সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/একেবি