‘ঋণের টাকায় কেনা নৌকাটি মেঘনার জোয়ারে ভেসে গেছে। এখন কিভাবে শোধ করবো এই টাকা। পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো? আল্লাহ ছাড়া আমাদের এই কষ্ট দেখার আর কেউ নেই।’ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন নৌকা হারিয়ে এভাবে কষ্টের কথা বলছিলেন মো. শাহ্আলম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ।
লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার কাদিরপন্ডিত গ্রামের বাসিন্দা শাহ্আলম পেশায় মাছ শিকারী। ৪০ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। জীবনের অধিক সময় নদীর সঙ্গে লড়াই করে জীবিকা-নির্বাহ করে আসছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেইলের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপ তিনি জানান, গতরাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কারণে রাক্ষসী মেঘনা নদীর বুকে ভেসে গেছে তার নৌকা। ধার দেনা করে ৪০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন তিনি। এখন এই টাকা কিভাবে শোধ করবেন তিনি তার কোনো উপায় জানা নেই তার।
শাহআলম বলেন, ‘জীবনের দীর্ঘসময় ধরে নদীতে মাছ শিকার করে আসলাম। ঝড়-তুফান, ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ার-ভাটার সঙ্গে সংগ্রাম করে, এতোটা বছর বেঁচে আছি। শেষ বয়সে এসে আরও কতো কষ্ট খোদা আমার কপালে রেখেছে জানি না। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব বিপদে পরে গেলাম।’
এসময় তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘কয়েকবছর ধরে শুনে আসলাম নদীর পাড়ের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হবে। আজ যদি বেড়িবাঁধ থাকতো, তাহলে আমাদের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকতো না। সরকারের আমাদের দাবি, দ্রুত একটি বাঁধ নির্মাণ করে দেন। এই অঞ্চলের মানুষগুলোর প্রতি দয়া করেন।’
টিবি