স্বেচ্ছাসেবকেরা বলছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে— এমন কথা ফেনীর সোনাগাজীর মানুষ বিশ্বাস করছেন না। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা বারবার মাইকিং ও অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্কবার্তা দিলেও সোনাগাজীর উপকূলবাসীরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না।
আশ্রয় কেন্দ্রে আশপাশে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোরা, বুলবুল, আম্পান ও জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সোনাগাজীর উপকূলে জরুরি বিপদ সংকেত দেখানো হলেও শেষ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি। তখন ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের কথা বলার পর গবাদিপশুসহ অনেক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন যতটা বলা হয়েছিল পরিস্থিতি ততটা খারাপ হয়নি। তাই তারা এবার আর কারও কথা বিশ্বাস করছেন না!
বিজ্ঞাপন
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) চরচান্দিয়া ইউনিয়ন টিম লিডার শাখাওয়াত হোসেন জীবন মিয়াজি বলেন, গত কয়েক বছর বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগের সময় সোনাগাজীর উপকূলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সে জন্য মানুষকে এখন যতই বলা হচ্ছে, কেউ আসতে চাইছে না।
উপকূলীয় দক্ষিণ চরচান্দিয়া হামুমাঝিশিয়া, নদী ভাঙ্গা, ধান গবেষণা এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক নরুল করিম সাইফুল এবং মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে মাইকিং করে মানুষকে বিপদের কথা জানানো হলেও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছেন না।
প্রতিনিধি/এইচই