শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পানিতে থৈ থৈ পুরান ঢাকা, দুর্ভোগ চরমে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

পানিতে থৈ থৈ পুরান ঢাকা, দুর্ভোগ চরমে

সোমবার রাতেই শক্তি কমে পুরোপুরি দুর্বল হয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়টিতে ১৭ জনের প্রাণহানি হলেও আশঙ্কার চেয়ে তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল জলাবদ্ধতা, যা মঙ্গলবার দুপুর অবধি রাজধানীবাসীকে ভুগিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পুরান ঢাকা ও মোহাম্মদপুর এলাকার মানুষ।

এসব এলাকায় অলিগলি ছাপিয়ে পানির চাপ এসে পৌঁছেছে মূল সড়কে। ফলে পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বংশাল, নাজিরাবাজার, নাজিম উদ্দিন রোড, চকবাজার, বকশিবাজার এলাকায় দেখা গেছে জলবদ্ধতার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কোথাও কোথাও ভ্যান দিয়ে মানুষজনকে রাস্তা পার হতেও দেখা গেছে।

dhaka-3বকশিবাজারের বাসিন্দা জিয়া হক ঢাকা মেইলকে বলেন, রাতে ঘূর্ণিঝড় কমে যাওয়ায় অনেকেই মনে করেছে পানিও কমে গেছে। কিন্তু সকালে উঠে দেখি বাসার সামনে প্রায় হাঁটু পানি। দুপুর পর্যন্তও পানি সেইভাবে কমেনি। তাই বাইরে বের হওয়া মানুষ বেশ কষ্ট পাচ্ছে।

সোমবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সারাদেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিল দিনভর। রাতে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার পর মধ্যরাতেই তা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়।

তবে এই সময়ের মধ্যে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেশি তাণ্ডব চালায়। গাছ পড়ে গিয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।


বিজ্ঞাপন


এই সময়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়কেও গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে তুমুল বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অনেক এলাকায় পানি জমে দুর্ভাগের সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকার পানি সকাল হওয়ার আগে কমে আসলেও পুরান ঢাকা ও মোহাম্মদপুরে পানি যেন কমছেই না।

dhaka-1

যদিও দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পানি সরানোর জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য দক্ষিণের চেয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের লোকজন বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

কেরাণীগঞ্জ থেকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আসা রাশিম মোল্লা ঢাকা মেইলকে নিজের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলে গেলেও দুর্ভোগ রয়ে গেছে। তাঁতীবাজার থেকে পানি ভেঙে গুলিস্তান এলাম। বিশেষ করে মহিলা ও ছোট বাচ্চারা খুব কষ্টে রাস্তা পার হয়েছে দেখলাম। সিটি করপোরেশনের আরও বেশি সক্রিয় হওয়া উচিত।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর