ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ফরিদপুরে গাছ উপড়ে পড়ায় ঢাকা–খুলনা ও ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুটি মহাসড়কের ৮০ কিলোমিটার অংশে গাছগুলো অপসারণ করে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টা থেকে সীমিত পর্যায়ে ওই দুই পথেই বাস চলাচল শুরু হয়েছে । পাশাপাশি মহাসড়ক থেকে গাছ কেটে অপসারণ করার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম বলেন, ভাঙ্গা থেকে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ৫০টি জায়গায় গাছ অপসারণ করতে হয়েছে। এখনও এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জয় বাংলার মোড় এলাকায় উপড়ে পরা গাছ কাটার কাজ চলছিল। এরই মধ্যে যানবাহন চলাচল করতে শুরু করেছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
>> আরও পড়ুন : গাছ উপড়ে পড়ে ঢাকা–বরিশাল ও ঢাকা–খুলনা সড়কে যান চলাচল বন্ধ
এদিকে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, পুলিশ ও নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে উপড়ে পড়া গাছগুলো অপসারণ করছে। অপসারণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এই সড়ক দিয়ে রাত দুইটা থেকে সীমিত পর্যায়ে যানবাহন চলাচল শুরু করেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ৮০ কিলোমিটার পথের বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপরে পড়ায় মহাসড়ক দুটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তালমা, পুকুরিয়া ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ এর ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝরা, মাঝিগাতী, রিসাতলা, জয়বাংলা, কাইলার মোড়, মনসুরাবাদসহ অন্তত ২৫টি জায়গায় গাছ উপরে পড়ে।
তবে সীমিত আকারে দুই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও সংশয় প্রকাশ করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি তৈমুর আলম বলেন, ‘আপাতত যানবাহন চলাচল শুরু করা গেলেও এরপর কী ঘটে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত অবস্থায় রয়েছি। ভোর চারটা পাঁচটা পর্যন্ত সময় অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত এ আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই