শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সিলেটে বিদ্যুৎ গোলযোগে দেড় লাখ গ্রাহক 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০২:৩১ এএম

শেয়ার করুন:

সিলেটে বিদ্যুৎ গোলযোগে দেড় লাখ গ্রাহক 
ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সিলেটে প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ গোলযোগের শিকার হচ্ছেন। এতে চরম ভোগান্তির পড়েছেন তারা।  

সিলেট নগরের বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পাভেল আহমদ বলেন, বিকেল চারটার পর থেকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে এক দফা আসার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসার আইপিএসের চার্জ শেষ হয়ে মোমবাতির আলো জ্বালাতে হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলের পর থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রভাব ফেলেছে। এতে বিউবো সিলেটের আওতাধীন প্রায় সাড়ে চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। বাকি প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক বিদ্যুতের গোলযোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে সিলেট শহর এলাকার গ্রাহকেরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিউবো সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদের তপাদার বলেছেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে এমনটি হচ্ছে। তবে বিউবো মেরামতকাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু একদিকে মেরামত করা হলে অন্যদিকে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছপালা বিদ্যুতের তার এবং খুঁটিতে পড়ে যাচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।

বিউবো জানিয়েছে, বিউবোর প্রায় সাড়ে চার লাখ গ্রাহকের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮৯ মেগাওয়াট। সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে কোনো ধরনের ফারাক নেই। এরপরও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গোলযোগ হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের ফিডারগুলোতেও গোলযোগ খা দিচ্ছে। ফিডারে গাছের ডালপালা পড়ে ফিউজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

নগরের রায়নগর এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। এর আগে সকালের দিক থেকে বৃষ্টি হলেও কোনো সমস্যা হয়নি। তবে বিকেলের দিক থেকে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যুৎ এলেও প্রায় পাঁচ মিনিট পর আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও ১০ মিনিটের মধ্যে আবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে কয়েক দফা বিদ্যুৎ গোলযোগের শিকার হয়েছেন গ্রাহকেরা।


বিজ্ঞাপন


নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, চলতি বছর দুই দফা বন্যায় শাহজালাল উপশহর এলাকায় প্রায় টানা ১৫ দিনের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এবার বন্যা না হলেও সামান্য বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাসে বিকেল সাড়ে চারটার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। 

বিউবো সিলেট বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান, তার এলাকাধীন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে এমসি কলেজ ফিডারের প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক কিছুটা বিদ্যুৎ গোলযোগের শিকার হচ্ছেন। এমসি কলেজের ফিডারে ঝড়ের কারণে কিছুটা গোলযোগ দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে সেটি মেরামতে কাজ করছেন। তবে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছেন রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর