ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে ২৪ ঘণ্টায় ২৬০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটার বেগে সর্বোচ্চ বাতাস বয়ে গেছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদফতরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায়।
প্রনব কুমার রায় বলেন, সোমবার বিকেলের দিকে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে, যা সন্ধ্যার পরেও অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে দিনের চেয়ে আজ রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা সদর দফতরসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মোট ১১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
বিষয়টি সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন আইসিটি শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার লাকী দাস।
যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বরিশাল জেলা ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। শহর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলসহ ফসলি খেত ও মাছের ঘেরও তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।
প্রতিনিধি/এইচই