বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করেছে। মধ্যরাত নাগাদ ভোলা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশজুড়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য- এই তিন কারণে ঝড়ের প্রভাব আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, সোমবার অমাবস্যা তিথি। এসময় সাগরে জোয়ার থাকে। ফলে উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পড়ার শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ থেকে আট ফুটের উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার সময় অমাবস্যা থাকবে। এই সময় চন্দ্র ও সূর্য একই দিক থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। যার কারণে পৃথিবীতে যে জলভাগ আছে, তার ওপর অতিরিক্ত আকর্ষণ তৈরি হয়। এতে জলভাগ উত্তাল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এর প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়, যা জলভাগের ওপর চাপ তৈরি করে। ফলে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।
সিত্রাং ইতোমধ্যে সিভিয়ার সাইক্লোন তথা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দেশের ১৩টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়টি মারাত্মক আঘাত হানতে পারে। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।
এসএএস/জেবি











































































































































































