বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ আকারে সাগরে অবস্থান করছে। যা ঘূর্ণিঝড় হয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যে শক্তি নিয়ে ঝড়টি উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে, ততটা শক্তিতে আঘাত হানতে পারবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। সিত্রাংয়ের একটি অংশ ভেঙে গেছে, যার ফলে তার শক্তিও অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেইলকে এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক কাউসার পারভীন।
বিজ্ঞাপন
এই আবহাওয়াবিদ জানান, গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট সিত্রাং এখনও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এটি এখনও গভীর নিম্নচাপ আকারে রয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও রোববার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কাউসার পারভীন জানান, সিত্রাংয়ের একটি অংশ ভেঙে গেছে। ফলে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় করতে পারছে না ঝড়টি। যে গতিতে ও শক্তি নিয়ে সিত্রাং উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল, সে শক্তি অনেকটাই কমে যাবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আগামীকাল সোমবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের মধ্যভাগে বৃষ্টিপাত হবে।
সিত্রাংয়ের গতি-প্রকৃতি বিচার করে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ অংশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
বিজ্ঞাপন
এর প্রভাব পড়বে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ ১৯ জেলায়।
কারই/জেবি