শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে দিক পাল্টাতে পারে গভীর নিম্নচাপটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে দিক পাল্টাতে পারে গভীর নিম্নচাপটি
ফাইল ছবি

সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এটি আরও ঘনীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের ৫নং বিশেষ সতর্কবার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৬.০°উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৮.৫° পূর্ব) অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আরও জানান, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসাথে ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত (পুনঃ) ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পরবর্তী সময়ে আরও বাড়তে পারে।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর